ক্যারিয়ার! যার পেছনে আমাদের আজকাল না ছুটলেই নয়। এতো কঠিন বিষয়টি আমাদের কাছে তখনই সহজ মনে হবে যখন ক্যারিয়ার গঠনের কিছু টিপস ফলো করে সামনে এগিয়ে যাবো। চলুন তবে আর কথা না বাড়িয়ে আলোচনা করি এই ক্যারিয়ার গঠনের কিছু টিপস নিয়ে।
ক্যারিয়ার গঠনের কিছু টিপসের মধ্যে প্রথম টিপস হলো পরিষ্কার লক্ষ্য সেট করা। যে লক্ষ্যে কোনো কনফিউশন থাকবে না। এরপর এসব লক্ষ্যকে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যে ভাগ করতে হবে। এতে করে প্রতিটি লক্ষ্য ধাপ অনুযায়ী দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হবে।
এক্ষেত্রে স্বল্প-মেয়াদী লক্ষ্যগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করা এবং ছোট ছোট অন্যান্য লক্ষ্য সেট করতে পারেন। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হিসাবে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে পৌঁছানো বা একটি পছন্দসই একটি ক্ষেত্রে নিজেকে প্রবেশ করানোে মতো বড়বড় স্বপ্নগুলি নিয়ে ভাবতে পারেন।
ক্যারিয়ার গঠনের কিছু টিপস হিসাবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে শেখায়। আপনি যত বেশি শিখবেন ততবেশি সফল ক্যারিয়ারের দিকে এগিয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে অনলাইন কোর্স, ওয়ার্কশপ, ভিডিও কোর্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র ব্যবহার করতে পারেন। কোর্সের ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন Coursera, edX, এবং LinkedIn Learning প্ল্যাটফর্ম।
নিজেকে কেন্দ্র করে একটি প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। আপনি যে সেক্টরে কাজ করতে চান সেই সেক্টর অনুযায়ী বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হোন, বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলুন। LinkedIn এর মতো প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন। এসব ক্ষেত্রে কন্টেন্ট দিন, দক্ষতা শেয়ার করুন।
আপনি যে সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠন করতে চান সেই সেক্টরের কোনো একজন মেন্টরের সাহায্য নিন। মনে রাখবেন হতে পারে আপনার মেন্টর যথেষ্ট ব্যস্ত মানুষ।
তার মানে এই না যে আপনি ভদ্রতার সাথে তাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না বা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে মেন্টরকে মাঝেসাঝে গিফ্ট পাঠান, তার সুনাম করুন। সবকিছুর বিনিময়ে নিয়ে নিন প্রয়োজনীয় গাইডলাইন।
ক্যারিয়ার গঠনের কিছু টিপসের মাঝে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংও বেশ জরুরি। এর মানে হলো প্রফেশনাল লাইফে আপনি কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করছেন এবং একজন স্কিলফুল মানুষ হিসাবে স্কিলের বাজারে আপনার ভ্যালু কেমন।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের ভালো প্রোফাইল তৈরি করুন। নিজের স্কিল তুলে ধরুন এবং বিভিন্ন পরামর্শমূলক কন্টেন্ট আপলোড করুন ও আপ টু ডেট থাকার চেষ্টা করুন।
সফট স্কিল বলতে ম্যানেজম্যান্ট স্কিল, ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার স্কিল, কমিউনিকেশন স্কিল ইত্যাদি বোঝায়। যেসব স্কিল সাধারণত ব্যাক্তিত্ব রিলেটেড হয়ে থাকে। যারা এসব স্কিল ডেভলপ করতে চান তারা অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি কোর্স কমপ্লিট করতে পারেন।
আপাতদৃষ্টিতে এসব স্কিলকে যথেষ্ট অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হলেও দিনশেষে আপনি যখন প্রফেশনাল লাইফে কাজ করবেন তখন বুঝবেন এসব স্কিলের অভাবে আপনাকে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদী কর্মজীবনের সাফল্য এবং ব্যক্তিগত সুস্থতার জন্য সবসময় একটি প্রোডাক্টিভ রুটিন ফলো করুন। যেখানে আপনার নিজের জন সময় থাকবে, নতুন স্কিলের জন্য সময় থাকবে এবং কাজের জন্যেও যথেষ্ট সময় থাকবে।
এতে করে একদিকে যেমন আপনার কাজটা হয়ে যাবে, অন্যদিকে ঠিক তেমনই নিজেকে সময় দিতে পারার কারণে আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত হবে।
অবহেলা কিংবা অলসতার কারণে আপনি কোনো সুযোগকেই হাতছাড়া করবেন না। নতুন স্কিল শো করার সুযোগ এসেছে? এক্ষুনি কাজে লাগান!
নতুন ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন? কাজে লেগে পড়ুন। মনে রাখবেন আপনি যদি সময়মতো সুযোগের দেখা নাও পান সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই সেই সুযোগকে টেনে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন৷
ক্যারিয়ার গঠনের কিছু টিপস সম্পর্কে তো জানলেন! এবার চলুন ক্যারিয়ার গঠনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণ ও দক্ষতা সম্পর্কে জানি:
ক্যারিয়ার গঠনের কিছু টিপস ফলো করার পাশাপাশি আপনার মনের কথা যদি যৌক্তিক হয় সেক্ষেত্রে সেসব কথাকেও প্রাধান্য দিন। যাতে করে পরবর্তীতে ক্যারিয়ারের জন্য কাজ করতে গিয়ে আপনাকে আফসোস করতে না হয় বা মন খারাপ করতে না হয়।